রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
সরকারী চাকুরের জমি জালিয়াতির মাধ্যমে পাওয়ার দলিল করে বিক্রি করার অভিযোগে তিনজন দলিল লেখক সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।৯ সেপ্টেম্বর রোববার বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সরকারি চাকুরীজীবী উত্তর জাগুয়া এলাকার বাসিন্দা শরীফ মোর্শেদ রেজা মামলাটি দায়ের করেন।মামলায় উত্তর সাগরদীর ফরিদ হাওলাদার,রুপাতলীর সাইফুল ইসলাম,বাকেরগঞ্জ উপজেলার দেউলি গ্রামের কবির হোসেন হাওলাদার,জাগুয়ার এসকান্দার আলী,উত্তর জাগুয়ার জাহাঙ্গীর তালুকদার,দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমানের ছেলে সুমন,দলিল লেখক শামীম হাওলাদার,জাগুয়া এলাকার মোঃ বশির,জাহাঙ্গীর,রুপাতলীর হালিম খন্দকার,দলিল লেখক মাইনুল ইসলাম,আলেকান্দার মাইনুল হক ও দলিল লেখক নুরুল ইসলাম এবং অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বাদী আদালতে বলেন,অভিযুক্তরা সবাই জাল জালিয়াতি চক্রের সদস্য।বাদীর জাগুয়া মৌজায় ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ৩২ শতাংশ জমি রয়েছে।তিনি সরকারি চাকরি করায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে থাকে।এ সুযোগে অভিযুক্তরা গতবছর ১১ এপ্রিল তার নাম শরীফ মোর্শেদ রেজার পরিবর্তে শরীফ মোর্শেদ রেজা ওরফে শরীফ মারুফ রেজা সোহেল লিখিয়া প্রকৃত আইডি নং ০৬৯৫১১৭২২৩৪৪০ এর বদলে ভুয়া আইডি নং ০৬৯৫১১১৮৭২৬১০ লিখিয়া অন্য লোক দাঁড় করে ওই জমির জাল পাওয়ার অব এটর্নি দলিল রেজিস্ট্রি করে।পাওয়ার গ্রহীতা হিসেবে অভিযুক্ত ফরিদ হাওলাদারের নাম দেয়।ওই জাল পাওয়ার দেখিয়ে ফরিদ গত বছর ১০ আগস্ট ও ১৭ আগস্ট দুই দলিলের মাধ্যমে সাইফুল ও কবিরের নামে সাফকবালা দলিল রেজিস্ট্রি করে দেয়।অন্যান্য অভিযুক্তরা দলিলে সাক্ষী,পরিচিতি ও দলিল লেখক হিসেবে স্বাক্ষর দেয়।গত ৭ জুলাই ওই জমিতে অভিযুক্তরা সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে বাদী তাদের জালিয়াতির বিষয় টের পেয়ে তাদের তৈরি জাল দলিল সম্পর্কে জানতে পারে।এধরনের অভিযোগ দায়ের করলে আদালত পি বি আই পুলিশকে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দেন বলে আদালত সূত্র জানায়।
Leave a Reply